শ.ম.গফুর, ভ্রাম্যমাণ প্রতিবেদক:
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাসের মাথায় আবারও শুরু হয়েছে কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে রোহিঙ্গা আশ্রয় প্রার্থীদের স্থানান্তর প্রক্রিয়া।২৫তম ধাপে ৫০৮ জন নতুন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়। পাশাপাশি আগে স্থানান্তর হওয়ার পর কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৩ জন রোহিঙ্গাকেও একই সাথে পাঠানো হয়েছে ভাসানচরে।সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকেই ২৫তম ধাপে ভাসানচর যেতে আগ্রহী উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা উখিয়া কলেজে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে জড়ো হতে শুরু করেন।দিবাগত রাত ১১ টারদিকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে পরদিন নৌবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় জাহাজযোগে ভাসানচর পৌঁছাবেন তারা।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা নয়ন। তিনি জানান, আগে স্থানান্তর হওয়ার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেড়াতে আসা ৩৯৩ জনসহ মোট ৯০১ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয়েছে ভাসানচরে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।রাত ৮টার দিকে ট্রানজিট পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২০টির অধিক বাস ও ট্রাক অবস্থান নেন,যা দিয়ে ৯০১ জন রোহিঙ্গাকে পাঠানো হয় ভাসানচরে।
উখিয়ার ১৫নং জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পরিবার নিয়ে ভাসানচর যাচ্ছেন রোহিঙ্গা যুবক আবুল কালাম (২৭)। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পে আতঙ্কে থাকি সন্ত্রাসীদের কারণে। পরিবার নিয়ে এখানে নিরাপদ না, আমরা তাই চলে যাচ্ছি ভাসানচর।’উখিয়ার ১৫ ও ১৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ২৭টি পরিবারের ২৫৩ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যেতে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলে ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
সর্বশেষ গত ১ মার্চ, বানৌজা পেঙ্গুইন, ডলফিন, টুনা ও বানৌজা তিমি নামে চারটি জাহাজে করে ২৪তম ধাপে এক হাজার ২৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেওয়া হয়।প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা আসেন। ২৪ ধাপে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply